সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীরে বিন্নাকুলি লাউড়েগর নির্মানাধীন নতুন রাস্তার পাশে সেভ মেশিন দিয়ে রাতের আধাঁরে প্রতিনিয়ত অবৈধ সেভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে বালু খেকোঁ মালেক বাহিনী। জানা যায় আনু মানিক ৫ কোটি টাকার উপরে ব্যায়ে ওয়াল্ড ব্যাংকের এডিপির অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে বিন্নাকুলি থেকে লাউড়েরগড় যাতায়াতের রাস্তা।
হাজার হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এই রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু নদীর তীরে রাস্তাটি হওয়ায় বল্ক সাপোটিং সহ নির্মিত হচ্ছে এই রাস্তা। বর্তমানে রাস্তার পাশ হইতে বালু খেকোঁদের অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তার পাশে বল্ক পিটিং করতে পারছেন না বলেও জানা যায়।
বিন্নাকুলি লাউড়েরগড় রাস্তার পাশে সেভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে মালেক বাহিনী, এমনটি জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাধারণ মানুষেরা । শুধু তাই নয় কিছুদিন ধরে রাতের আধাঁরে অবৈধ ভাবে পাড়কেটে বালু উত্তোলন করে ডালারপাড়ে কৃত্রিম নদী বানাচ্ছে জামাল বাহিনী এমন ঘটনার ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর ডালারপাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ, তাহিরপুর থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। যার ফলে বালু খেকোঁ জামাল বাহিনীর হাত থেকে যাদু কাটা ডালারপাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সক্ষম হন তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন। সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই আবারও নতুন বালু চক্র ভূমিদস্যু মালেক বাহিনী এবার শুরু করেছে ডালারপাড় সংলঘ্ন বিন্নাকুলি লাউড়েগর যাতায়াতের নব নির্মিত চলমান রাস্তার পাশে যাদুকাটা নদীর তীর হতে সেভ মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন।
মালেক বাহিনী ও তার সহযোগী মুন্তাজপুর গ্রামের মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার গংরা রাস্তার পাশে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এসমস্ত বালু খেকোঁদের হাত থেকে নদীর তীরে রাস্তার পাশে বালু উত্তোলন বন্ধে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই দাবী সাধারন মানুষের।
এ ব্যপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান হৃদয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিন্নাকুলি লাউড়েরগড় রাস্তার পাশে যেই বালু উত্তোলের চেষ্টা করবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।



