রবিউল হোসাইন সবুজ, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানার সাহসী ও মানবিক পদক্ষেপে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের হাজারো কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
বহু বছরের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছেন উপজেলার ০৫নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের গাজীরপাড় গ্রামের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত প্রায় ৮৪ একর (৮,৪০০ শতাংশ) বিশাল ফসলি মাঠ বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে যেত। নির্দিষ্ট কোনো ড্রেন বা কালভার্ট না থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কৃষক সময়মতো ইরিধান রোপণ করতে পারতেন না।
এ বছরও একই সমস্যা দেখা দিলে, স্থানীয় কৃষকরা এলাকার কৃতি সন্তান শাফায়েত হোসেনের মাধ্যমে বিষয়টি ইউএনও নার্গিস সুলতানার কাছে তুলে ধরেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনও নার্গিস সুলতানা নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান — সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলন চাকমা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব আহমদ উল্লাহ সবুজ, ইউনিয়ন সচিব, পুলিশ প্রশাসন।
পরিদর্শন শেষে ইউএনওর তাৎক্ষণিক ও সাহসী সিদ্ধান্তে, মাত্র তিন কর্মদিবসের মধ্যে ০৭নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের রাস্তা কেটে মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।পাশাপাশি কাটা স্থানে দ্রুত একটি স্থায়ী কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশনা দেন তিনি, যা স্থায়ী সমাধান হিসেবে কাজ করবে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন,“প্রতি বছর আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়তাম, এবার ইউএনও স্যার দ্রুত উদ্যোগে মাঠের পানি নেমে গেছে। আমরা সময়মতো ধান রোপণ করতে পারব — এটি আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো।”
কৃষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে।এ সময় এলাকার জনপ্রতিনিধি, কৃষক সমাজ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও নার্গিস সুলতানার এই দূরদর্শী ও মানবিক উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।
