মোঃ তাজিদুল ইসলাম: ছাতক উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়নের নয়া মৈশাপুর গ্রামে অবস্থিত “কাজি আরিয়ান জিসান উমাইয়া একাডেমি”-তে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এই সভাটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি কয়েস উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন প্রধান শিক্ষক রাজন মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইলিয়াস মিয়া একাডেমির পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেন,
“আপনাদের একাডেমির শিক্ষার্থীদের চোখে স্বপ্ন দেখেছি, তাদের মাঝে একটি আলোকিত ভবিষ্যতের আশা পেয়েছি। এ প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। অভিভাবক, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষার মান উন্নয়নে আপনাদের এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও বলেন,“এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের অবদান অপরিসীম। সবাই মিলে শিক্ষাকে আরও মানসম্মত করে তুলতে হবে, যাতে এই অঞ্চলের প্রতিটি শিশু মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ পায়।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন,
“শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এই প্রতিষ্ঠানের মতো আরও উদ্যোগ গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে ছাতক হবে একটি আলোকিত জনপদ।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন —
জনাব কাজী মকসুদ মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর, মিশিগান সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; সদরুল আমিন সোহান, নানু মিয়া (যুক্তরাজ্য প্রবাসী); মনজুরুল করিম তুহিন (আমেরিকা প্রবাসী); কাজী মহসিন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, খুরমা উত্তর ইউপি; নুরুল হুদা ফয়সাল (ইতালি প্রবাসী); ড. আফসার উদ্দিন, শিক্ষানুরাগী;
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম আলী রাসেল, জামাল উদ্দিন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুজাহিদুর রহমান হীরা, সাজ্জাদ মিয়া, আলতাব আলী, ফয়েজ আহমদ, ইসলাম উদ্দীন, আজিজ মিয়া, ফখরুদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের শিক্ষা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কাজি আরিয়ান জিসান উমাইয়া একাডেমি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেখানে প্রবাসীদের সহযোগিতায় একটি আধুনিক ও আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
প্রধান শিক্ষক রাজন মিয়া বলেন,“আমরা শিশুদের শুধু পুঁথিগত নয়, নৈতিক ও প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একাডেমিকে এলাকার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও কবিতা আবৃত্তি উপস্থাপন করে, যা অতিথিদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য ও অগ্রগতির কামনা করেন।
স্থানীয়ভাবে এই পরিদর্শন ও আলোচনা সভা এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা ভবিষ্যতে কাজি আরিয়ান জিসান উমাইয়া একাডেমিকে আরও এগিয়ে নিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।