Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • প্রশাসন
  • মহেশখালীতে দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

মহেশখালীতে দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

মহেশখালীতে দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার।

মহেশখালীতে দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার।

নুরুল করিম (মহেশখালী) প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার একমাত্র পাহাড়িদ্বীপ মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী।

১১ ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোর থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার কালারমারছড়া ফকিরজুমপাড়া ও আঁধারঘোনা পাহাড়ি গহীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দেশীয় এক নলা বন্দুক, এলজি, ২৪ রাউন্ড তাজা এ্যামুনেশন ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ’সহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বুধবার কালারমারছড়ায় টহলরত তিন পুলিশ সদস্যকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা, তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউকে আটক করা হয়নি। এসব অস্ত্র দুর্গম পাহাড়েই তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে যৌথ বাহিনী।

অভিযানে ডাকাত দলের আস্তানা হিসেবে পরিচিত কয়েকটি ‘টংঘর’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান এসময় বলেন, গত কয়েক মাসে মহেশখালীতে একাধিক হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ এলাকার নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় মহেশখালীর তারেক বাহিনী, বাবু বাহিনী, রাসেল বাহিনী, রশিদ বাহিনীসহ আরও কয়েকটি ডাকাত বাহিনী জড়িত। এসব বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সবকিছু বিবেচনা করে মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মহেশখালীতে অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও লবণ উৎপাদনের ঘোনা রয়েছে। এসব দখল-বেদখল নিয়ে সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগেই থাকে। ডাকাত-সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দুর্গম পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে অবস্থান করে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ কারখানায় অস্ত্র তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। কিছুদিন আগেও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে সাতটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল র‌্যাব।

অভিযানকে ঘিরে পুরো দ্বীপজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, চারদিকে সাগরবেষ্টিত হওয়ায় একপ্রান্তে অভিযান শুরু হলে সন্ত্রাসী ও অস্ত্র কারিগররা অন্যপ্রান্তে পালিয়ে যায়। ফলে পুরো পাহাড়জুড়ে এ ধরণের ধারাবাহিক চিরুনি অভিযান চালালেই এই অবৈধ অস্ত্র কারখানাগুলো সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

লে :কর্নেল কামরুল হাসান আরও জানান, পলাতক ডাকাতদের শনাক্ত ও আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। আর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *