বুশরা আক্তার: নিজের ব্যাগ ভর্তি অ্যাওয়ার্ড বোঝাই করাকে অর্জন মনে করি না। বরং সামষ্টিক অর্জনকে সত্যিকারের অর্জন মনে করি। আমি সেই প্রচেষ্টা চালু রেখেছি। ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড আমার এই প্রচেষ্টায় জ্বালানি হিসেবে যুক্ত হল। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর এভাবেই নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাফিস আহমেদ ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কক্ষে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এসময় নাফিস আরও বলেন, ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ছেলেরা ফার্স্ট হয় না এই মিথ্যাটা ভাঙতে পারার আনন্দ অন্যরকম; তাও নতুন রেকর্ড গড়ে। তবে আমি ফার্স্ট হবার টার্গেট নিয়ে কখনো পড়াশোনা করি নি। আমি কেবল একনিষ্ঠতার সাথে শিখেছি এবং ঐ শেখাটা শেয়ার করেছি।
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী বনিক বলেন, কষ্ট করেছি সেটার জন্য সম্মান পেয়েছি সেইটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু। আমার পরিবার, শিক্ষকরা সবাই আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন আমরা সবার কষ্টের সেই দামটা আজকে দিতে পেরেছি সেইজন্য সৃষ্টিকর্তা,শিক্ষক, পরিবার সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি সবার দোয়ায় এবং ভালোবাসায় এই পর্যন্ত এসেছি সবার ভালোবাসা এবং দোয়া চাই।
আইন বিভাগের ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো: রেজাউনুল ইসলাম গনি বলেন, বিগত বছরও স্কলারশিপ পেয়েছি তখন চেক হাতে হাতে দিয়ে দিয়েছে কিন্তু এইবার আয়োজনটি ভিন্ন ছিলো। মনে হলো সত্যিকার অর্থে সম্মাননা দিয়েছেন আমাদের। সব থেকে বড় প্রাপ্তি হলো আমাদের ভিসি স্যার সহ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার আমাদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানটি নিজেকে সম্মানিত করে মনের মধ্যে দাগ কেটে নেয়। এই স্কলারশিপ ব্যবস্থাটি চালু থাকলে ভবিষ্যতে আরো অনেক মেধাবীরা নিজের মেধা বিকাশে উৎসাহিত হবেন।
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি বিভাগের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।