ডেস্ক নিউজ: নির্বাচনী সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে যে একই ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ইত্যাদি পদে ২বারের বেশি থাকতে পারবেন না এবং একই ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান, সচিব (সেক্রেটারি) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবে না ৩ বারের বেশি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর ২০২৪) এ ধরনের আইন আনতে সরকারের কাছে সুপারিশের জন্য নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান ‘ড. বদিউল আলম মজুমদারের’ কাছে প্রস্তাব করেছে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (MOSUS)।সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ গোলাম রহমান ভূঁইয়া লিখিতভাবে ২৩ দফা উত্থাপন করেন।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রোধ করতে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। একইভাবে, কেউ একটি রাজনৈতিক দলের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ যেমন চেয়ারম্যান, সচিব ইত্যাদি পরপর ২ বা ৩ মেয়াদের বেশি অধিষ্ঠিত হতে পারে না, তাই দলীয় গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ছাড়া কেউ ২বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
একই সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নেতা নির্বাচন করা, রাজনৈতিক অপরাধ বিচারের জন্য রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনাল ও রাজনৈতিক আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন, দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্য রোধে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংশোধন, জাতীয় নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা। রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বাস্তবায়ন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সৎ, যোগ্য ও সাহসী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, নির্বাহী ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর দলীয় প্রভাব দূর করা, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়করণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়করণ, এনআইডি ব্যবস্থাপনা ইসির অধীনে রাখা, তিন পার্বত্য এলাকায় তিনটি সংসদীয় আসন এবং ঢাকার ১১টি আসন সংরক্ষণ, সব প্রার্থীকে এক মঞ্চে এনে প্রচারণা ব্যবস্থা করা, ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রচলন, হলফনামা ও মনোনয়ন ফরম সংশোধন, প্রার্থী হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন বছরের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ থাকা, নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ সীমিত করে বিধান প্রণয়নেরও সুপারিশ করা হয়।