মাহফুজ কাউসার ছাদি: লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী জয়নুল হুসেন তুহিন যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডসে অনুষ্ঠেয় আফ্রিকান লিডারশিপ সামিট-২০২৫-এ এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। ১০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশসহ সমগ্র এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব অর্জন করেছেন। আফ্রিকার ৫৪টি দেশের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতৃত্বের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নির্বাচিত তরুণ আইকনদের অংশগ্রহণে এই সামিটের মূল লক্ষ্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা এবং যুব উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা।
তুহিনকে তার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন এবং ইইই বিভাগের প্রধান মো. নিয়াজ মোর্শেদুল হক অভিনন্দন জানিয়েছেন। দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তুহিনকে সামিটের দুটি আন্তর্জাতিক যুব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, যা কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের উদ্ভাবনী চিন্তার প্রতিফলন।
এই সম্মেলনে তুহিন বিশ্ব নেতাদের সাথে নেটওয়ার্কিং সেশন, রাউন্ডটেবিল আলোচনা ও নেতৃত্বমূলক সংলাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, যেখানে যুব নেতৃত্ব ও আন্তঃমহাদেশীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। তার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকার সাথে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সামিটে উপস্থিত থাকবেন তাঞ্জানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. জাকায়া কিকওয়েতে, মিশরের উপ-অর্থমন্ত্রী আহমেদ কৌশুক, সোমালিয়ার অর্থমন্ত্রী বিহি ইমান এগেহ, যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডসের সদস্য লর্ড ডলার পোপাট ও ব্যারোনেস স্যান্ডি ভার্মা, ভোডাফোন গ্রুপের নির্বাহী এবিনেজার আসান্তে, বতসোয়ানার পর্যটন মন্ত্রী ফিল্ডা নানি কেরেং এবং এশিয়ান আফ্রিকান বিজনেস কাউন্সিলের সিইও রাহুল ঘোষ। এছাড়াও মাইক্রোসফট, শেল, গুগল আফ্রিকা, হুয়াওয়ে ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
আন্তর্জাতিক যুব আইকন তুহিন তার এই অংশগ্রহণকে “দেশের জন্য গর্ব ও দায়িত্ব” হিসেবে অভিহিত করে জানান, তিনি বাংলাদেশের তরুণদের উদ্যোগ ও নেতৃত্ব বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে কাজ করবেন। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য গৌরবের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে। লিডিং ইউনিভার্সিটির পরিবার তুহিনের একাধিক আন্তর্জাতিক সাফল্যে গর্বিত এবং ভবিষ্যতেও তার সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী।