নিউজ ডেস্ক:
ইসরায়েল এক সাথে চার দেশে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া ও গাজায় বোমা বর্ষন করছে ইসরায়েল।
বিপরীতে তেলাবিব ও ইলাইতে ইসরায়েলি সেনা ঘাটি লক্ষ করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথিরা। লেবানন ও ইসরায়েল স্থল হামলার মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতও তিব্রতর হচ্ছে। ফলে ইসরায়েল ও হিজবুল্লার মধ্যে যে যুদ্ধ শুরুর ধারণা করা হচ্ছিলো এখন তা বাস্তব হতে চলেছে। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর লেবাননের দক্ষিনাঞ্চলের গ্রামগুলোর সুনির্দিষ্ট লক্ষবস্তুতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।
এক অক্টোবর মংগলবার ইসরায়েলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের দক্ষিন সিমান্তবর্তী গ্রাম গুলোই হিজবুল্লার লক্ষ বস্তুতে বিমান হামলা চালনো হয়েছে। একি সংজ্ঞে সেখানে প্রবেশ করেছে স্থল বাহিনি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ ধরে চলা হামলায় নিহত হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ। এবং বাস্তচ্যুত হয়েছেন দশলাখের বেশি। শুধু লেবানন নয়, একিদিনে সিরিয়ার রাজধানী ধামেস্কেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে তিন জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সমবার রাতে গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার ইয়েমেনের হুতিবিদ্রোহের সমুদ্রবন্ধর এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো হয়। যুদ্ধ বিমান ও আকাশ যানের হামলার প্রয় চারজন প্রান হারায়।
জবাবে হুতদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের বিমান হামলা ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
এর একদিন আগে শনিবার তেল আবিবের বেনগুরিও বিমন বন্দর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছিলো হুথিরা। তারপর এই হামলার ঘটনা ঘটলো। এছাড়া গাজায় প্রতিদিন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গত বছরের ৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪১ হাজার মানুষ মারা যায়। আহত হয়েছেন প্রায় ৯৫ হাজার।
৩০ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল প্রধান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরাসরি হুমকি দিয়ে ইরানের জনগণের উদ্দেশ্য বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার হুমকি মনে করলে এ অঞ্চলের যে কোনো দেশে হামলা চালাতে প্রস্তুত। মধ্যপ্রাচ্যের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে ইসরায়েল পৌছাতে পারে না।