মোঃ মিজানুর রহমান (নন্দন) মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় টিআর কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাবই গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে মস্তো মিয়ার বাড়ীর রাস্তার কাবিখা প্রকল্পের কাজ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় এখানে নাম মাত্র কাজ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এলাকার লোকজন জানান, এ রাস্তা মেরামতে মুল রাস্তা ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে তার উপর সামান্য কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।রাস্তার উচ্চতা ও প্রস্হ বৃদ্ধি পায়নি।
এলাকার লোকজন জানান, এ রাস্তা টি প্রতি বছর কাবিখার আওতায় মেরামত করা হয় কিন্তু রাস্তার কোন উন্নতি হয়নি।প্রতিবার টিআর, কাবিখা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ বছর কাবিখার আওতায় এ রাস্তা মেরামত করার জন্য ৭.৪৭১ মেঃটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।যার আনুমানিক বাজার মুল্য দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা।
কাবিখা প্রকল্পে কাজ করে গরীব মানুষ খাদ্য পাবে এ নিয়ম ভেংগে এসকেলেটর বা ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করেছে।যা নীতিমালা অনুযায়ী সঠিক নয়।
আর ভেকু মেশিনে মাটি কাটা শ্রমিকের চেয়ে অনেক কম খরচ হয় তাই শ্রমিকের বরাদ্দ কৌশলে মেরে খাচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসী জানায় ভেকু মেশিন দিয়ে মাত্র ৩০/৩৫ ঘন্টা রাস্তায় কাজ করিয়েছে।
প্রতি ঘন্টায় ২০০০/ টাকা হিসেবে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার কাজ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানা যায়।
এপ্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য শাহ আলম কে ম্যাসেন্জারে তথ্য জানতে চাইলে তিনি তথ্য প্রদান করেন নি।ফোনও রিচিপ করেন না।
অপরদিকে মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।পরে ফোন ধরে জানান কিভাবে মাটি কাটল তা দেখার দরকার নেই।আমরা ম্যাজারমেন্ট করে বিল দিয়েছি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাবিখা প্রকল্পের কাজ কি দিয়ে করেছে তা জানিনা।শ্রমিক দিয়ে করার কথা।
নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করেই টিআর কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দ দেয়া গম, চাল বিক্রি করে নাম মাত্র কাজ করে বাকী টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পিআইসি সদস্য জানান।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী , সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।