নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ নির্বাসন শেষে অবশেষে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এলেন কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মোরশেদ আলম।
এক সময় নিজ এলাকার গর্ব হিসেবে পরিচিত এই নেতা ২০১৫ সালে অদৃশ্য শক্তির অপপ্রয়াসের শিকার হয়ে নিখোঁজ হন। সেই ভয়াল সময়ের কথা মনে করে এখনও শিউরে ওঠেন তার সহযোদ্ধারা।
গুমের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসার পর সিদ্ধান্ত নেন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার। এরপর শুরু হয় তাঁর নির্বাসনের জীবন। তার নির্বাসন জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন সাগর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ২০১৫ সালো আওয়ামী লীগ সরকার গু’ম করে আমার উপজেলার কৃতিসন্তান সাবেক ছাত্র নেতা মোরশেদ ভাইকে, গু’মের হাত থেকে ফিরে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মাঝখানে জেল জুলু’মের কথা নাই বললাম।
২০১৭ সালে পল্টন হোটেল ক্যাপিটাল থেকে খাসির মাংস দিয়ে লাঞ্চ করে মোরশেদ ভাইকে নির্বাসন জীবনের জন্য এয়ারপোর্টে উদ্দেশ্যে বিদায় দিয়েছিলাম। দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে আজকে দেশে ফিরে প্রথমে অশ্রুসিক্ত হয়ে সেই স্মৃতির কথা মনে করল মোরশেদ ভাই।পরে একই মেনু দিয়ে দেশের প্রথম খাবার, মাঝখানে দেশের আসার জন্য কত আকুতি আর আফসোসের গল্প ও স্মৃতি ইতিহাস সাক্ষী হয়ে থাকবে।
সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ তিনি ফিরলেন স্বদেশে। মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মোরশেদ। চোখ ভিজে ওঠে পুরনো স্মৃতিতে—বিদায়ের সেই মুহূর্ত, সহযোদ্ধাদের কণ্ঠে সান্ত্বনার সুর, আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়াল ছায়া।
নির্বাসিত জীবনের কষ্ট, দেশের মাটিতে ফিরে আসার তীব্র আকুতি আর না বলা অনেক কথাই আজ যেন ইতিহাস হয়ে থাকল চোখের জলে ভেজা স্মৃতিতে।
রাজনৈতিক আশ্রয়, প্রতিকূলতা, অভিমান—সব পেরিয়ে আজ মোরশেদ আবার মাটি ছুঁয়েছেন নিজের। সহযোদ্ধারা বলছেন, “দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কখনো ভোলার নয়। আবারও তাকে পাশে পাওয়ার আশা আমাদের জন্য নতুন উদ্দীপনা।”