দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এইচএসসি /আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি দিয়েছে সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজ হলরুমে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে এইচএসসি ও আলিম পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ শতাধিক শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও বৃত্তি বিতরণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট’র সচিব প্রফেসর চৌধুরী মামুন আকবর।
সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতি’র সভাপতি শমসের আলী’র সভাপতিত্ব আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,দোয়ারাবাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ একরামুল হক,সিলেট মেট্রোপলিটন ‘ল’ কলেজের অধ্যপক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সমাজ সেবক ডাঃ হারুন অর রশীদ, বোগলা রুছমত আলী রামসুন্দর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান,সমিতি’র উপদেষ্টা উকিল উদ্দিন আহমদ, সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ অসীম মুধক, উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন’র উপদেষ্টা আজিজুর রহমান।
সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মো: ছায়াদ মিয়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাফর আলী, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক,সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, শিক্ষা মানুষকে সমাদৃত করে, মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ জাগ্রত করার জন্য কাজ করে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা, বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলা। কিন্তু এ কথা আবার সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি, কিন্তু বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী হিসেবে সমাজে সমাদৃত হয়ে আছেন সম্মানের পাত্র হিসেবে। তবে এ ক্ষেত্রে সু-শিক্ষাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করার বা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা, শিক্ষিত হলেই যে একজন মানুষের ভেতরের ভালো ভাবনাগুলো জাগ্রত হবে, সেটিও ঠিক নয়।
বক্তারা আরো বলেন,শিক্ষার আরো একটি কাজ হলো মানুষকে আলোকিত করা, আলোকিত সমাজ গঠন করা। আবার অনেক অশিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে আমরা শিক্ষিত একজন মানুষের চেয়েও বেশি মেধা ও মননশীল গুণাবলি খুঁজে পেতে পারি। পৃথিবীতে অনেক মনীষী আছেন, যারা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেননি। তবে সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
তাই সু-শিক্ষা অর্জন করে আলোকিত মানুষ হয়ে সবার জন্য কাজ করতে হবে। । সকল সংকীর্ণতা দূর করে দেশ ও মানুষের সেবায় এক হয়ে কাজ করার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।