১৭০০ কোটি ডলার লুটপাট করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা।

ডেস্ক নিউজ: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে এই সরকার হাসিনার দোসরদের লুট ও পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা আহসান মনসুর এর আগে গত মাসে এফটিকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তের জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
ইউনুছ বলেছেন, হাসিনার শাসনামলে নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, “বোর্ডের সদস্যদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হোটেলের মতো অন্যান্য স্থানে নিয়ে যায় এবং বন্দুকের মুখে তাদের ব্যাংকের সমস্ত শেয়ার এস আলমের কাছে বিক্রি করতে এবং তাদের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন । একের পর এক ব্যাংকে তারা এটা করেছিলো।

বাংলাদেশের অন্যত্বম একটি ব্যাংকের সাবেক সিইও এফটিকে বলেছেন, জোরপূর্বক ব্যাংক দখলের অংশ হিসাবে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশের অন্যতম বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি তৎকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যসম্ভব চাপে পড়েছিলেন।

মান্নান জানান , ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার সময় তাকে তুলে নেওয়া হয় এবং পরে একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার সাথে তাকে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য পুরো একটি কার্যদিবস বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্তহন মান্নান।
তিনি আরোজানান , তারা ভুয়া স্টেশনারি নিয়ে ব্যাংকের চিঠি তৈরি করে। আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে ভাদ্য করা হয়েছিলো।