ছাতক ( সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের ছাতকে ব্যবসায়ীমানিক মিয়াকে হত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ইছামতী বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর রাতে ইছামতি বাজারে ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে লুভিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসলামপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা ও সীমান্তে চোরাকারবারীর গডফাদার কামরুজ্জামান কামরুলের সাথে বনগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী ফজলুল করিমের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় কামরুজ্জামান কামরুলের লোকজনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় ব্যবসায়ী মানিক মিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর মারা যান তিনি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের ১৫ দিন পার হলেও প্রধান আসামী কামরুজ্জামান কামরুল এখনও ধরা ছোয়ার-বাহিরে রয়েছে।
বক্তারা বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামী আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল এখনও পুলিশের ধরা-ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। সে প্রতিনিয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক লেখালেখি করে যাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীরাও এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু অদৃশ্য কারনে তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, হত্যা মামলার আসামী কামরুলের মদদে তার অনুসারী গং কর্তৃক নিজ বাড়িতে গরুর ঘরে আগুন লাগিয়ে বাদি পক্ষের স্বাক্ষীগণের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। মামলার স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি এবং হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত খুনি কামরুজ্জামান কামরুলসহ খুনের সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বনগাঁও আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো.সিরাজুল হক, সীমান্তিক জনকল্যান সংস্থার সভাপতি মো.ইলিয়াছ আলী, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিক আলী, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ময়না মিয়া, বিএনপি নেতা হেলাল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য রজব আলী, লাল মিয়া, নিহত ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার ছোট ভাই ফজল করিম, জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুস সালাম, মো.নুরুজ্জামাল, আহমদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মো.মনিরুজ্জামান, আব্দুল হক প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধনে ব্যবসায়ী মানিক মিয়া মামলার প্রধান আসামী কামরুলসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো.আব্দুর রাহিম জানান, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী কামরুলসহ অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।



