দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর -সুরমা ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে প্রবাহমান পাহাড়িয়া নদী খাসিয়ামারা নদী’র বালু মহাল ইজারাদার কর্তৃক বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা শহীদ মিনার রেস্ট হাউসে এই আয়োজন করেন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।
এতে বক্তব্য রাখেন, খাসিয়ামারা বালু মহাল ইজারাদার শাহজালাল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ও উপজেলার সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ইজারাদার ও প্রবাসী মো. মুর্শেদ আলম।
ইজারাদারগণ বলেন, আমরা পহেলা বৈশাখ থেকে এক বছর মেয়াদে খাসিয়ারা নদী’র বালু মহাল ইজারা এনেছি। খাসিয়ামারা নদী ভরাট হয়ে হারিয়ে যাওয়া নাব্যতা ফেরাতেই সরকার এই বালু মহাল ইজারা প্রদান করেছে। এলাকবাসীর সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদী’র নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। পাহাড়ি ঢলের সাথে উজান থেকে আসা বালু জমাটবদ্ধ হওয়ায় দিন দিন নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলে নাব্যতা ফিরে আসবে।
তারা বলেন, খাসিয়ামারা নদীর বালু মহাল সৃষ্টি হওয়ায় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক খাসিয়ামারা নদী পরিদর্শন করায় নদীর দুই তীরে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবোকে নির্দেশ দেন। পাউবো এই বাঁধ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একই সাথে লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাথে সুরমা ইউনিয়নের যোগাযোগের সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এটা এই এলাকার জন-মানুষের উন্নয়ন।
ইজারাদারগণ আরো বলেন, খাসিয়ামারা নদীর রাবারড্রামের তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বড় ধরনের ক্ষতি হলে সেটা রাষ্ট্রীয় ভাবে পূর্নসংস্কার করা ছাড়া সম্ভব নয়। কোন ব্যক্তি মালিকানায় এটার ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য নেই। বালু মহালের কারনে আংশিক কোন ক্ষতি হলে
নদীর তীরবর্তী ফসলি জমির কৃষিকাজ করার সুবিধার্থে পানি সংরক্ষণের জন্য রাবার ড্যামকে সংস্কার করে রাবার প্রতিস্থাপন করা হবে। তাই রাবার ড্যাম নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
আমরা এলাকার উন্নয়ন চাই। এতে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় ছাতকের ইজারাদার ছদরুল আলম সোহান, দোয়ারাবাজার এলাকার জাকির হোসেন, বোগলাবাজার এলাকার জামাল উদ্দিন ও প্রবাসী রশিদ আহমদ, লক্ষিপুর ইউনিয়নের রোয়াব আলী, মনির মিয়া, আবু হানিফ, মোতালিব মিয়া, আনোয়ার হোসেন, নাসির মিয়া, শফিক মিয়া, আবিদ মিয়া ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।