মোঃ তাজিদুল ইসলাম: সিলেট বিভাগের সেরা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু বাস্তবে রোগী ও সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন। অনেকের মতে, হাসপাতালটি যেন “ভূতের বাড়ি”, যেখানে সেবার মান নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ বছরের তালিকায় ৪৯০টি উপজেলার মধ্যে ছাতক ১১তম এবং বিভাগীয়ভাবে প্রথম হলেও স্থানীয়রা এটিকে “হাস্যকর স্বীকৃতি” আখ্যা দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সামান্য রোগীকেও সিলেটে পাঠানো হয়, শৌচাগারগুলো অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক, কোটি টাকার ভবন ও সরঞ্জাম অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার ও নার্সদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি, ভুল প্রেসক্রিপশন, টাকা নেওয়া, জরুরি সময়ে সেবা না দেওয়া এবং রোগীদের প্রতি রূঢ় আচরণের মতো অভিযোগও রয়েছে।
ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “এ হাসপাতাল যদি শ্রেষ্ঠ হয়, তবে অন্যগুলোর অবস্থা কত ভয়াবহ!”
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন বলেন, সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিনের দাবি—ডেলিভারির সংখ্যা ও রোগী সেবার সূচকের ভিত্তিতেই ছাতক শ্রেষ্ঠ হয়েছে।
স্বীকৃতি আর বাস্তব অভিজ্ঞতার এই বৈপরীত্য সাধারণ মানুষের মনে নতুন প্রশ্ন তুলেছে—স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত মান আসলে কোথায়?